ফেসবুক মনিটাইজেশনের লোভে অন্ধভাবে টিন খুলে বিপদে পড়ছেন না তো?

 "মনিটাইজেশনের লোভে অন্ধভাবে TIN খুলে বিপদে পড়ছেন না তো"⁉️

আজকাল মনিটাইজেশনের আশায় অনেকেই, বিশেষ করে নারীরা, হুড়মুড় করে টিন (TIN) খুলে ফেলছেন। এখন অনলাইনে TIN খোলা অনেক সহজ হয়ে গেছে—ছেলের হাতের মোয়ার মতো। কিন্তু সেই "মোয়া" খাওয়া যাবে কিনা, সেটাই আগে কেউ ভেবে দেখে না।


মনিটাইজেশনের আগে নিজের প্রোফাইল, কন্টেন্ট, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভালোভাবে বুঝে নেওয়া জরুরি। 

➡️কন্টেন্ট ক্রিয়েশন কোনো সহজ কাজ নয়—এখানে দরকার ইউনিক আইডিয়া, সৃজনশীলতা এবং ধারাবাহিক পরিশ্রম। যারা নিয়মিত ভিন্নধর্মী কন্টেন্ট তৈরি করছেন, সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন, তারাই ফেসবুক থেকে ভালো আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

কিন্তু অনেকের ধারণা, শুধু পোস্ট করলেই ডলার চলে আসবে। বাস্তবে এমনটা হয় না। যারা পরিশ্রম করতে চান না, তারা পরে সমস্যায় পড়েন।


❌প্রথম ভুল: TIN খুলে ফেলা

সবচেয়ে বড় ভুল হয় এখানেই। কেউ আগে-পিছে  না ভেবে  সোজা গিয়ে TIN খুলে ফেলেন। কারণ অনলাইনে খোলা সহজ। অথচ এটা খোলার আগে অবশ্যই একজন কর-আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।


কারণ,

  • 📌 TIN কী?
  • 📌 কেন খুলতে হয়?
  • 📌 কিভাবে খোলা উচিত?
  • 📌 খোলার পর কি দায়িত্ব পালন করতে হয়?
  • 📌 না করলে কী ধরনের জরিমানা বা ঝুঁকি আছে?


এই সবকিছুর ব্যাখ্যা রয়েছে আয়কর আইন, ২০২৩-এ।

আপনি যখন কম্পিউটার দোকানে যাবেন, দোকানদার কেবল TIN খুলে দিতে পারবেন, কিন্তু আইনগত ব্যাখ্যা বা পরবর্তী কর-সংক্রান্ত দায়িত্ব বোঝাতে পারবেন না।

মনিটাইজেশনের লোভে গণহারে TIN খোলা আসলে অনেককে বিপদে ফেলছে। তাই আগে বুঝে-শুনে, সঠিক পরামর্শ নিয়ে, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

শামীমা হোসাইন ছন্দা  (কর আইনজীবী)

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url